করোনাভাইরাস পরীক্ষা এতই সংবেদনশীল যে এই পরীক্ষায় পুরোনো সংক্রমণ থেকে কোনো মৃত ভাইরাসের অংশ উঠে আসতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এভিডেন্স-বেজড মেডিসিনের গবেষকেরা বলছেন, এ কারণে পজিটিভ হিসেবে ভুয়া ফলাফল আসতে পারে। রোগীকে অপ্রয়োজনে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতে পারে।
গবেষণা বলছে, বেশির ভাগ রোগী এক সপ্তাহ পর্যন্ত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তবে কয়েক সপ্তাহ পরও পজিটিভ হতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, এটি করোনা মহামারি সম্পর্কে অতি ধারণা দিতে পারে।কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ হবে না—এমন নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা করাটা অনিশ্চিত।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এভিডেন্স-বেজড মেডিসিনের পরিচালক অধ্যাপক কার্ল হেনেগান বলেন, ভাইরাস আছে কি নেই, এ ব্যাপারে পজিটিভ বা নেগেটিভ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে পরীক্ষায় এমন ব্যবস্থা থাকা দরকার, যেখানে ভাইরাসের অতি ক্ষুদ্র অংশ থেকে পজিটিভ ফল আসবে না। তিনি বলেন, মৃত ভাইরাস শনাক্ত করার বিষয়টি করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকার বিষয়ে আংশিক ব্যাখ্যা দিতে পারে।
অধ্যাপক হেনেগান বলেন, সক্রিয় ভাইরাস আছে কি না, তা প্রতিটি পরীক্ষায় যাচাই করা সম্ভব না। তবে ভাইরাসের সক্ষমতা নিয়ে গবেষণায় পরীক্ষার ফল ভুয়া পজিটিভ আসার হার কমতে পারে। এতে মানুষের পুরোনো সংক্রমণের কারণে করোনা পজিটিভ ফল আসা রোধ করা সম্ভব হবে। অপ্রয়োজনে মানুষকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। মহামারির বর্তমান মাত্রা বোঝার জন্য এটি সহায়ক হবে।
ইতালির মহামারি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফ্রান্সিসকো ভেনতুরেলি বলছেন, করোনার সংক্রমণ কত দিন থাকতে পারে, এর যথেষ্ট নিশ্চয়তা নেই। ভাইরাল কালচারভিত্তিক কয়েকটি গবেষণার ভিত্তিতে তিনি বলেন, ১০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার আট দিন পরও সক্রিয় ভাইরাস বহনের প্রমাণ রয়েছে.visit-www.doctorslinkbd.com